Skin Care Buying Guide: একেক জনের ত্বক একেক রকম। তাই সব স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট সকলের জন্য একই রকম কাজ করবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই এত বাছাবাছির ধৈর্য থাকে না। হাতের সামনে যা পাওয়া গেল তাই কিনে নেন অনেকেই। তাছাড়া দোকানে যেন নানা ধরনের কসমেটিক্সের মেলা বসেছে। ছড়িয়ে রয়েছে হাজারটা ব্র্যান্ড। এই এত সব প্রোডাক্টের মধ্য থেকে কোনটি নিজের জন্য ভালো, তা বুঝতেও সমস্যা হয় অনেক সময়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রলোভনে ভুললে চলবে না। বিশেষ করে স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। কারণ একটু ভুলচুক হলেই ত্বকে দেখা দিতে পারে সমস্যা। হতে পারে অ্যালার্জি, ইনফেকশন! তাই নিজের ত্বক, কসমেটিক্সের মান ইত্যাদি বিষয়গুলি বাছাই করার পরই কিনতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
কী উপাদানে তৈরি: স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে সেগুলো কী কী উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ইদানীং সুপার মার্কেট বা অনলাইনে যে সব প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে সেগুলো ক্ষতিকর উপাদানে ভরপুর। এগুলোর নিয়মিত ব্যবহারে শুষ্ক ত্বক, ব্রন, ফুসকুড়ির সমস্যা তো হতেই পারে, ত্বকের ক্যানসার হওয়াও বিচিত্র নয়। আবার প্যারাবেনস, পেট্রোকেমিক্যাল, সিসা ইত্যাদি থাকলেও সচেতন হতে হবে। তাই প্রাকৃতিক এবং রাসয়নিকমুক্ত পণ্য কেনাই ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো।
আরও পড়ুন – মেদ ঝরানো থেকে যৌন ইচ্ছে বৃদ্ধি, just কামাল দেখাবে ‘ঘরোয়া’ এই উপাদানটি! চিনে নিন..
ত্বক অনুযায়ী প্রোডাক্ট কিনতে হবে: প্রথমে বুঝে নিতে হবে ত্বকের প্রকৃতি। ত্বক তৈলাক্ত হলে সেই ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে যা তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার যোগ্য। অন্য দিকে, স্কিন যদি ড্রাই হয় সেক্ষেত্রে ঠিক তেমন পণ্য ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান পদক্ষেপ। তবে ব্যবহারের ভুলে এই ধরনের পণ্য থেকেও হিতে বিপরীত হতে পারে। আসলে অনেকের কিছু নির্দিষ্ট উপাদান ব্যবহারে অ্যালার্জি বা র্যাশের মতো সমস্যা হয়। তাই সেদিকে খেয়াল রেখে প্রোডাক্ট কিনতে হবে।
প্যাচ টেস্ট: নতুন কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে তা ত্বকের সঙ্গে মানাতে পারবে কি না তা যাচাই করার এক মাত্র পদ্ধতি হচ্ছে প্যাচ টেস্ট। যে কোনও স্কিন টাইপের জন্যই প্যাচ টেস্ট করে নেওয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেনসিটিভ স্কিনের জন্য টেস্ট করে নেওয়াটা মাস্ট! এটা কোনও জটিল পদ্ধতি নয়। খুব সহজেই করা যায়।
আরও পড়ুন – কোষ্ঠকাঠিন্যকে অবহেলা করছেন? নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন, সতর্ক হোন এখনই
কোনও প্রোডাক্টে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হবে কি না তা জানতে সামান্য পরিমাণে প্রোডাক্ট নিয়ে কানের পিছনের অংশে লাগাতে হবে। এটি করলে একটা ধারণা পাওয়া যাবে যে এই পণ্য বা উপাদানে অ্যালার্জির কোন সমস্যা হচ্ছে কি না।
কোনও প্রোডাক্টে ইরিটেশান বা চুলকানির মতো সমস্যা হবে কি না তা জানতে প্রোডাক্টটি শরীরের সবচেয়ে সেনসিটিভ অংশে লাগিয়ে দেখে নিতে হবে। সেজন্য কনুই, ঘাড় কিংবা নাকের ডগায় অল্প পরিমাণে ব্যবহার করে দেখা যায়। শরীরের ওই অংশটি লাল হয়ে গেলে,বা ইরিটেশান শুরু হলে বুঝতে হবে প্রোডাক্টটি ত্বকের জন্য মানানসই নয়। সেটা আর ব্যবহার না করাই ভালো।
স্কিন ব্রেকআউট বা পোরস ক্লগিং পরীক্ষার জন্য প্রোডাক্টটি থুতনি, ভ্রু বা নাকের চারদিকে সামান্য পরিমাণে লাগিয়ে টেস্ট করতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Skin Care Tips