নয়াদিল্লি: বাথরুমের কল থেকে যে জল আসে তা ত্বকের জন্য মোটেও ভাল বলে মনে করা হয় না। এই ধরনের জলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থাকে যা কেবল প্লাম্বিং পাইপ জ্যাম করে তা নয়- ত্বক এবং চুল উভয়েরই ক্ষতি করে। আসলে, হার্ড ওয়াটারে খনিজ পদার্থ থাকে, যা সাবানের মতো পিচ্ছিল পদার্থ তৈরি করতে পারে। যার কারণে ত্বকের ছিদ্র আটকে যায় এবং ব্রণ ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
অন্য দিকে, হার্ড ওয়াটার ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে, ফলে ত্বক সময়ের আগেই বুড়িয়ে যায়। না চাইলেও ত্বক এই খর জলের সংস্পর্শে আসতে বাধ্য। কারণ আমরা স্নান করা এড়িয়ে যেতে পারি না। কিন্তু স্নান একটি নিয়মিত ব্যাপার। তাই ধীরে ধীরে হার্ড ওয়াটার ত্বকে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু সহজ ব্যবস্থা অবলম্বন করলে হার্ড ওয়াটার থেকে ত্বকের ক্ষতি আটকানো সম্ভব।
জল সফটনার ব্যবহার করতে হবে
কলের হার্ড ওয়াটার যাতে ত্বকের কোনও ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য ওয়াটার সফটনার ব্যবহার করা উচিত। ওয়াটার সফটনার প্ল্যান্ট বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এগুলি ট্যাপেও ইনস্টল করা যেতে পারে। যখন এগুলো ব্যবহার কড়া হয় তখন ত্বকে কোনও সাবানের অবশিষ্টাংশ থাকে না।
আরও পড়ুন: মন ভরে খান এই শীতে, শুধু এই খাবারগুলি পাতে থাকলেই ওজন বাড়বে না আর!
হাল্কা ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে
বাড়িতে যদি ইতিমধ্যেই হার্ড ওয়াটারের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ত্বকে ব্যবহৃত উপাদান সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে ত্বকের উপাদান হবে একদম হালকা। যার মধ্যে কোনও খর উপাদান থাকবে না।
আরও পড়ুন: ছোলার ডাল তো ভালবাসেন, কিন্তু কয়েকটা বিষয় মাথায় না রাখলে কিন্তু মহাবিপদ!
স্নানের সময়
কারও কারও স্বভাব থাকে বেশ অনেকক্ষণ সময় ধরে স্নান করা বা শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা। বিশেষ করে গরমকালে এটা করতে আরও বেশি করে চোখে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে স্নান করা কোনও দোষের ব্যাপার নয়। কিন্তু জল হার্ড হলে বেশিক্ষণ স্নান করলে তা ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। অতএব, ত্বকের যত্ন নিতে হবে এবং স্নানের সময় কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও, অত্যন্ত ঠান্ডা এবং গরম জল ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে ত্বকের জন্য তা ভাল হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Skin Care