#নয়াদিল্লি: ভিটামিন এবং খনিজ আমাদের স্বাস্থ্যকরভাবে শারীরিক কাজকর্ম করতে সাহায্য করে। আমাদের হাড় শক্ত করা থেকে শুরু করে হরমোন নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণে এই উপাদানগুলি আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যার মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি হল ভিটামিন বি১২, যা শারীরিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি লোহিতকণিকা এবং ডিএনএ গঠন করে, ব্রেন এবং নার্ভ ভাল রাখে এবং স্বাস্থ্যকর নার্ভাস সিস্টেম বজায় রাখে। তাই ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিতে শরীরে বিস্তর সমস্যা দেখা যায়৷
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিতে অনেক রোগ হতে পারে
ভিটামিন বি১২ যেহেতু লোহিত রক্তকণিকা গঠনে, হাড়ের স্বাস্থ্য, এনার্জি মাত্রা এবং মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে, তাই এই প্রয়োজনীয় পুষ্টির মাত্রা কমে গেলে ক্লান্তি, ত্বকে হলদেভাব, জিহ্বায় ঘা, মাউথ আলসার, হাঁটতে কিংবা চলাফেরার অভ্যাসে পরিবর্তন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, হতাশা এবং বুদ্ধিগত ক্ষমতা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে। এর সামগ্রিক প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পড়ে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর পর এবার এনামুল হক, লটারি কাণ্ডে এবার বড় হদিশ পেল সিবিআই
পেরেশথেসিয়া ভিটামিন বি১২-এর অত্যধিক ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে
ভিটামিন বি১২-এর অত্যধিক ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ হল ‘পেরেশথেসিয়া’। যার ফলে সাধারণত হাতে, পায়ে কিংবা পায়ের পাতায় জ্বালাভাব হয়, তবে শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে৷সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বি১২-এর অত্যধিক ঘাটতিতে ক্লান্তি, শারীরিক কাজে দুর্বলতা, পেটের উপরের দিকে ব্যথা এবং খিদে কমে যাওয়া সহ আঙুলে পেরেসথেশিয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে শরীরের অন্যান্য সব কিছু ঠিক থাকলেও বি১২-এর কম মাত্রা নির্ধারিত হয়। অনেক সময়ে দুবছর বি১২-এর ইনজেকশন দেওয়ার পরে রোগীর আর কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।
পেরেসথেশিয়া কী
পেরেসথেশিয়া অথবা ‘পিনস এন্ড নিডলসে’ পায়ে কিংবা পায়ের পাতায় কিংবা শরীরের যে কোনও অংশে জ্বালাভাব, চুলকানি বা সূচ ফোটার মতো সেনসেশন হতে পারে। যদিও এই ধরনের লক্ষণ পেরেসথেশিয়ার সতর্কতামূলক লক্ষণ, তবে পেরেসথেশিয়া হলেই যে এই লক্ষণগুলি দেখা যাবে এমনটা নয়। নার্ভে নির্দিষ্ট কোনও চাপের কারণেও এই সব হতে পারে। আবার ক্রনিক পেরেসথেশিয়া কোনও শারীরিক সমস্যার কিংবা নার্ভের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বরে সবাই ভালোই থাকবেন’, চন্দ্রিমার মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা
বি১২-এর ঘাটতি লক্ষণগুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে
বি১২-এর ঘাটতির লক্ষণগুলিকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যদিও চিকিৎসা করলে বেশিরভাগ লক্ষণ ঠিক হয়ে যায়, কিন্তু যত বেশি অবহেলা করা হবে ততই স্থায়ীভাবে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হয় কেন
বিভিন্ন কারণে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যেমন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের এই ভিটামিন শোষণের ক্ষমতা কমে যায়। আবার ওজন কমানোর সার্জারি কিংবা পাকস্থলীর কোনও অংশ বের করার কোনও অপারেশন হলেও শরীরে ভিটামিন বি১২ কমে যেতে পারে। আবার খুব বেশি মদ্যপান করলেও পুষ্টি শোষণে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ভেগান ডায়েট মেনে চললে অর্থাৎ প্রাণিজ প্রোটিন যেমন মাংস, দুধ, চিজ এবং ডিম না খেলেও বি১২-এর ঘাটতি হয়।
চিকিৎসা কী
ভিটামিন বি১২-এর কতটা ঘাটতি রয়েছে সেই অনুযায়ী ডাক্তার চিকিৎসার পরামর্শ দেন। তবে শরীরে বি১২-এর মাত্রা ঠিক রাখতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে৷ ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার যেমন দুধ, দই, ফ্যাটি মাছ, রেড মিট, শস্যের মতো খাবার ডায়েটে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সাপ্লিমেন্ট, ওষুধ কিংবা ইনজেকশন নিতে হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে হাইড্রোক্সোকোবালামিন এবং সিয়ানোকোবালামিন নামে দুটি ভিটামিন বি১২-এর ইনজেকশন রয়েছে যা অবস্থা বুঝে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paresthesia, Vitamin B