#কলকাতা: ক্যানসার একটা ক্রনিক রোগ। যে কারও শরীরে বাসা বাঁধা পারে এই রোগ। আসলে এক্ষেত্রে দেহ কোষ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে। যা দেহের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সময়ে রোগ নির্ণয় না-করা হলে ক্যানসার বেড়ে প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে। যদি খুব শীঘ্রই রোগ নির্ণয় করা যায়, তা-হলে আরোগ্য লাভের রাস্তাটাও সহজ হয়ে ওঠে। তাই উপসর্গ এবং রোগ লক্ষণের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আর নজর রাখাটাও খুবই জরুরি। নির্দিষ্ট ভাবে কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে, যা মেয়েদের জননাঙ্গের পাঁচ ধরনের ক্যানসারের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আসলে এই ধরনের ক্যানসার আবার গাইনিকোলজিক্যাল ক্যানসার নামেও পরিচিত।
কিন্তু গাইনিকোলজিক্যাল ক্যানসার ঠিক কোন ধরনের ক্য়ানসারকে বোঝায়। গাইনিকোলজিক্যাল ক্যানসার আসলে এমন ক্যানসার বা টিউমার সেল, যা মহিলাদের জননাঙ্গেই হয়। ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন মহিলারা। এ-ছাড়া রূপান্তরকামী পুরুষ এবং নন-বাইনারি লিঙ্গের মানুষজনই (যাঁরা মহিলা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন) এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। গাইনিকোলজিক্যাল ক্যানসারের তালিকায় রয়েছে ওভারিয়ান ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার প্রভৃতি।
আরও পড়ুন – Kitchen Hacks: ছাঁকনি আর কেটলিতে চায়ের কালো দাগ পড়েছে? এই উপায়গুলো ট্রাই করে দেখুন!
কিছু উপসর্গ, যার উপর নজরদারি জরুরি:
এমন কিছু সাধারণ উপসর্গ আছে, যা ৫ ধরনের ক্যানসারের কথা জানান দিতে পারে। দেখে নেওয়া যাক সেই উপসর্গগুলিই।
যোনি থেকে অস্বাভাবিক রকম রক্তপাত অথবা স্রাব (ভালভার ক্যানসার ছাড়া)
পেলভিক অংশে ব্যথা
যোনিতে চুলকানি, প্রদাহ, যন্ত্রণা
বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা
আরও পড়ুন – Makeup Tips: নতুন বছরে ট্রেন্ড করবে ৭০ থেকে ৯০-এর দশকের এই মেকআপ, আপনি তৈরি তো?
ঝুঁকির আওতায় রয়েছেন কারা?
যে কোনও মহিলারই এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। কয়েকটি সাধারণ বিষয় রয়েছে, যা কারওর গাইনিকোলজিক্যাল ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক রোগের ইতিহাস, ওবেসিটি, বয়স এবং এইচপিভি।
কী কী পদক্ষেপ করা জরুরি?
মসৃণ ভাবে আরোগ্য লাভের জন্য রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দুইই জরুরি। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে পড়ে প্যাপ স্মিয়ার। যা সার্ভিক্যাল এবং ইউটেরাইন ক্যানসার নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি আসলে একটি পেলভিক পরীক্ষা, যা যোনি, সার্ভিক্স, জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব, ওভারি, রেকটাম এবং এন্ড্রোমেট্রিয়াল টিস্যুর নমুনা পরীক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধের দাওয়াই:
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একটা এইচপিভি ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। যা সার্ভিক্যাল, ভ্যাজাইনাল ও ভালভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। এইচপিভি বা হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস হল সাধারণ যৌনবাহিত সংক্রমণ। ১১ থেকে ১২ বছর হলেই এই ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। এই রোগ নির্ণয় করা কিংবা যে কোনও রকম ক্যানসার সময়ে নির্ণয় করার জন্য প্রতিনিয়ত স্ক্রিনিং করাতে হবে। এমনকী তার উপসর্গের উপরেও নজর রাখা জরুরি। এটাকে অবহেলা করলে চলবে না।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cancer, Health Tips