অনেক সময়েই সদ্যোজাত থেকে শুরু করে কয়েক মাস বয়সি শিশুদের মধ্যে মুখ থেকে লালা পড়ার সমস্যা দেখা যায়৷ সাধারণত ৩ মাস বয়স থেকে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা শুরু হয়৷ বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মুখে লালারস বেশি উৎপন্ন হয়৷ অন্তত ৮ গুণ বেশি লালারস থাকে তাদের মুখে৷ তাই এটা যদি তারা গিলে না নেয়, তাহলে যে কোনওভাবেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে৷ কারণ তখনও তারা ঠোঁট বন্ধ করে রাখতে পারে না৷
দুধের দাঁত বার হওয়ার সময়েও লালা বার হতে থাকে মুখ দিয়ে৷ কারণ এ সময় তারা হাতের কাছে যা পায়, সেটাই তুলে মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তারা যত বড় হয়, তত মুখ থেকে লালা পড়ার সমস্যা কমে আসে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ২ বছর বয়সের মধ্যে এই সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়৷ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ার অর্থ তাদের বিকাশ যথাযথ হচ্ছে৷
আরও পড়ুন : কনুই, ঘাড়, স্তনের নীচে, যৌনাঙ্গ-সহ শরীরের নানা অংশে এই সমস্যা গরমে দেখা দেয়
কীভাবে কমাবেন-
সুতির তৈরি নরম বিব বা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন শিশুর লালা মুছে দেওয়ার জন্য৷ যত বার লালা বার হবে, তত বারই নরম কাপড়ে মুছে দিন৷ তার পর বেবিক্রিম লাগিয়ে দিন৷
বাচ্চা সব সময় অনুকরণ করেই শেখে৷ তাই তাকে প্রশিক্ষণ দিন কীভাবে সে লালা গিলবে৷ শেখান কী করে দুটো ঠোঁট বন্ধ রাখতে হবে৷ সাধারণ মাউথ এক্সারসাইজের মাধ্যমে শিশুকে শেখান তার জিভ মুখের মধ্যে উপরে, নীচে বা চারপাশে ঘোরাতে৷ এতে মুখের পেশি টোনড হবে৷ কমবে লালা পড়ার সমস্যাও৷
আরও পড়ুন : রাতে কোন দিকে মাথা রেখে ঘুম শরীরের জন্য শ্রেষ্ঠ? কোন দিকে দুঃস্বপ্ন ও অসুস্থতা?
স্ট্র-এর মাধ্যমে পানীয় টেনে খেতে শেখান আপনার শিশুকে৷ এতে তারা শিখবে কী করে দুটো ঠোঁট বন্ধ রাখতে হয়৷ মাঝে মাঝেই ঠোঁট বন্ধ রাখার অভ্যাস রপ্ত করান৷ তাহলে থুতনিও শুকনো থাকবে৷ ধীরে ধীরে আপনার সন্তানও সতর্ক হয়ে উঠবে এবং আপনার নির্দেশ মেনে চলবে৷
আরও পড়ুন : শিশু থেকে প্রৌঢ়- গরমে এই মারণসমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ, সতর্কতা নিন
চিকিৎসকের পরামর্শ-
শিশুর ২ বছর বয়স অবধি মুখ থেকে লালা পড়া স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু তিন বছর বয়সেও তা হলে, সেটা উদ্বেগের৷ সেক্ষেত্রে তার সার্বিক বিকাশ বাধা পাচ্ছে কিনা, খেয়াল রাখুন৷ অনেক সময় লালা পড়ার উপসর্গ জড়িয়ে থাকতে পারে স্নায়ুরোগের জটিলতার সঙ্গেও৷ সেক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।