Sunday, October 12, 2025
Home Life Style Child Specialist Sumanta Bhattacharya suggests to keep your child fit from seasonal sickness – News18 Bangla

Child Specialist Sumanta Bhattacharya suggests to keep your child fit from seasonal sickness – News18 Bangla

by blogadmin
0 comment


দু’ বছর পর ফিরেছে স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস ৷ পাশাপাশি মরশুম পরিবর্তনের সঙ্গেই চলছে ডেঙ্গির প্রকোপ৷ তার মাঝেই আতসবাজির পোড়ানোর অমোঘ আকর্ষণ৷ মরশুমি অসুস্থতা এবং বাজির পোড়ার ক্ষত এড়িয়ে কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার বাচ্চাকে? জানালেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন্ত ভট্টাচার্য৷ কথা বললেন অর্পিতা রায়চৌধুরী৷

প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোর এই সময়টা ঋতু পরিবর্তনের পর্ব৷ গ্রীষ্ম বা বর্ষা চলে গিয়ে হেমন্তের মধ্যে দিয়ে শীত ধীরে ধীরে তার আগমন বার্তা দেয়৷ চলতি কথায় মরশুম পরিবর্তন বা ‘সিজন চেঞ্জ৷’ এই সময়েই কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যে অসুখের প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়৷ এ বছরও তার অন্যথা হয়নি৷ হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে বাচ্চারা কয়েক মাস ধরেই আক্রান্ত হচ্ছে৷ তার উপর ডেঙ্গি আছে৷ কোনও এক বছর ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে৷ আবার কোনও বছর কম থাকে৷ ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশা৷ এই রোগ নিয়ন্ত্রণে দু’দিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ প্রথমত এলাকাভিত্তিক সচেতনতা, দ্বিতীয়ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা৷ যে এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেখানে বেশি সতর্কতা নিতে হবে৷

ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে রাখবেন ডেঙ্গি ছোঁয়াচে অসুখ নয়৷ তবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে মশার কামড় থেকে৷ বাড়িতে এবং বাইরে মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচাতে মশক নিরোধক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন৷ বাচ্চার বয়স ৬ মাস হয়ে গেলে ভাল কম্পানির নিরাপদ মশক নিরোধক ক্রিম লাগাতেই পারেন৷ যদি ত্বকে ক্রিম লাগাতে না চান, পোশাকে যে লোশন লাগাতে হয়, সেই রোল অন-ও ব্যবহার করতে পারেন৷ ডেঙ্গি কিন্তু সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্তও ব্যাধি৷ বাড়িতে বাচ্চা থাকলে বাড়ি সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কিনা দেখুন৷ আবর্জনা পরিষ্কার করুন নিয়মিত৷ জল কখনওই জমতে দেবেন না৷ পুরনো আমলের চৌবাচ্চায় জল জমলে সেখানে কিন্তু ডেঙ্গির মশা বংশবিস্তার করতে পারে৷ তাই চৌবাচ্চায় জল না জমানোই ভাল৷

আরও পড়ুন : দীপাবলিতে আতসবাজির ধোঁয়ায় চুলের দফারফা হতে পারে, জানুন চুলের যত্নের সহজ উপায়

এ সময়টা এমন এক পরিস্থিতি, যখন স্কুল খুলে গিয়েছে৷ আবার অন্যদিকে উৎসবের মরশুমও চলছে৷ অতিমারির দু’ বছর পর বাচ্চারা এ বার লাগামছাড়া ভাবে মেতেও উঠেছে পুজোর আনন্দে৷ তার থেকে তো আর ওদের আটকে রাখা যাবে না৷ তাই সতর্কতা প্রয়োজন৷ সর্দিকাশির মতো যে অসুখগুলি ছোঁয়াচে, সেখানে অন্য বাচ্চাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে ভাল৷ সেইসঙ্গে আপনার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে৷ সেল্ফ ইমিউনিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ আরও একটি স্বাস্থ্যকর দিক হল হাইড্রেশন৷ শরীরে জলের মাত্রা বজায় সঠিক বজায় রাখতে হবে৷ যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হল হাইড্রেশন৷ জল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলের রস রাখুন বাচ্চার ডায়েটে৷ যে চিকিৎসক আপনার বাচ্চাকে দেখেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলে দৈনিক জলপানের মাত্রা ঠিক করুন৷ যেটা ন্যূনতম দরকার, সেটা তো দিতেই হবে৷ প্রয়োজনে বাড়তি জল পান করলেও সমস্যা নেই৷

আরও পড়ুন :  মেনোপজ কি চলেই এল, বুঝবেন কোন কোন উপসর্গ দেখে, জানুন ও সতর্ক হোন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রথমেই বলব আমলকির রসের কথা৷ বাড়িতে বানাতে পারলে খুবই ভাল৷ নয়তো কিনতেও পারেন৷ আমলা বা আমলকির রস খান৷ তার পর বলব সাইট্রাস ফ্রুটের কথা৷ লেবু জাতীয় ফল, আপেল রোজ খেতে হবে৷ সেইসঙ্গে বাচ্চাকে দিন ড্রাই ফ্রুটস৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটাও কিন্তু রোজ খেতে হবে৷ কাজুবাদাম, আমন্ড, ওয়ালনাট ক্রাশ করে রাখুন৷ তার পর রোজ এক চামচ করে বাচ্চাকে খেতে দিন৷ দুধের সঙ্গে দিতে পারেন৷ আবার এমনিও দিতে পারেন৷ এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে৷

এ বার আসব আতসবাজির প্রসঙ্গে৷ কালীপুজো যখন, বাচ্চাদের তো আগ্রহ থাকবেই আতসবাজির দিকে৷ কিন্তু বাজি যতই পরিবেশবান্ধব হোক না কেন, পোড়ানো হলে ধোঁয়ার সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন হবেই৷ যা শরীরে ঢোকা কোনওমতেই কাম্য নয়৷ ক্ষতির পরিমাণ বা ক্ষতির প্রভাব কিছুটা কমাতে মাস্ক ব্যবহার করুন৷ গত দু’ বছরে মাস্ক তো জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে গিয়েছে৷ তবে অতিরিক্ত ধোঁয়া হয়ে গেলে কিন্তু মাস্কে দমবন্ধ লাগবে৷ সেদিকেও খেয়াল রাখবেন৷ যেন শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনও অসুবিধে না হয়৷ আতসবাজি তো সাময়িক আনন্দ দেয়৷ আমি বলব এর থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখাই শ্রেয়৷ বিশেষ করে যে সব বাচ্চার ফুসফুসজনিত সমস্যা আছে, হাঁপানির প্রবণতা আছে, ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে, তাদের কিন্তু আতসবাজি বা ধোঁয়ার কাছে যাওয়া যাবে না৷ কারণ এর ফলে ধূলিকণা ও দূষণে ফুসফুসের আরও ক্ষতি হবে৷ অ্যালার্জির প্রবণতাও বাড়তে পারে৷

আতসবাজির আরও একটি বিপদ হল ত্বকে ছ্যাঁকা লাগার আশঙ্কা৷ যদি দুর্ঘটনাবশত ছ্যাঁকা লাগে বা হাল্কা পুড়ে যাওয়ার ক্ষত হয়, তাহলে প্রথমেই সেই জায়গায় বরফ দিন৷ প্রাথমিক চিকিৎসা বলতে এটাই৷ তার পর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ দিন৷ কোনওভাবে ক্ষত গভীর হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে৷ নিজে নিজে ডাক্তারি না করে সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন৷ লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, কোনওভাবেই বাচ্চাকে একা একা বা বন্ধুদের সঙ্গে বাজি পোড়াতে অনুমতি দেবেন না৷ আপনি নিজে থাকতে পারলে খুবই ভাল৷ নয়তো দেখুন একজন অভিভাবক যেন সেখানে উপস্থিত থাকেন৷ উৎসব এবং ঋতু পরিবর্তনের আনন্দ উপভোগ করুন, তবে সতর্কতার সঙ্গে৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury

First published:

Tags: Child care, Seasonal disease



Source link

You may also like

Leave a Comment

About Us

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum sodales, augue velit.

@2022 – All Right Reserved. Designed and Developed by Silk City Soft