#কলকাতা: নাম শুনেই ভুরু কুঁচকোবেন অনেকে। প্রথম অংশটা যে এসেছে তিল থেকে, তা বুঝতে অসুবিধা নেই। কিন্তু পটেশ্বরী?
যে বাঙালি দেবীকে ঘরের মেয়ে করে নিয়েছে, সে যে স্বাদে-আহ্লাদে তাঁর কথা সব সময়ে ভাববে, তাতে আর আশ্চর্য কী! তাই পুজোর দিনে অনেক বাড়িতে যেখানে পটেশ্বরী রূপে পটের ছবিতে পূজিতা হন শারদীয়া সপরিবার সায়ুধবাহনা দুর্গা, তাঁর চরণেই প্রিয় এই ভাজাভুজির পদের সমর্পণ, নামকরণও সেখান থেকেই।
আরও পড়ুন : আমিষ ভোগ নয়, মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয় শোভাবাজার রাজবাড়িতে!
ভাজা এই পদ দেখতেও পটের মতো চ্যাপ্টা। দশমীতে ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ণে ভাজাভুজি বলতেই কুচো নিমকির ধুম, সেখানে এবার অতিথিদের শুভ বিজয়া বলে তাঁদের হৃদিকমলে ধুম লাগিয়ে দেওয়া যাক এই সাবেক বাংলার তিলেপটেশ্বরী দিয়ে। একবার খেলে ভোলার জো নেই, রেসিপি জোগাতে জোগাতেও অস্থির হয়ে যেতে হবে।
উপকরণ
ময়দা- ৫০০ গ্রাম
চালের গুঁড়ো- ৫০০ গ্রাম
সাদা তিল- ৩০০ গ্রাম
আদার রস- সিকি কাপ
মৌরি বাটা- ৪ চা-চামচ
সাদা তেল- মাপমতো
ঘি- ৪ চা-চামচ
নুন- স্বাদমতো
আরও পড়ুন : জেলে ‘অপমানিত’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়! কেন হঠাৎ দুর্গাপূজায় ‘না’? নেপথ্যে রয়েছে ‘বড়’ কারণ
প্রণালী
– প্রথমে ময়দা এবং চালের গুঁড়ো এক চা-চামচ করে ঘি দিয়ে আলাদা আলাদা ময়ান দিয়ে নিতে হবে।
– ময়ান দেওয়া হয়ে গেলে ময়দা আর চালের গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
– আদার রস করে রাখতে হবে।
– মৌরি বেটে রাখতে হবে।
– এবার মাপমতো জল দিয়ে ওই ময়দা আর চালের গুঁড়ো গুলে নিতে হবে, মিশ্রণ একেবারে ট্যালটেলে হলে চলবে না।
– আধ ঘণ্টা ওই মিশ্রণ হাত দিয়ে ফেটাতে হবে।
– আধ ঘণ্টা পরে এতে একে একে সাদা তিল, আদার রস, মৌরি বাটা, নুন দিয়ে আরও আধ ঘণ্টা ফেটাতে হবে।
– এবার কড়ায় সাদা তেল আর বাকি ঘি মিশিয়ে গরম করে নিতে হবে। লুচি ভাজার মতো ডুবো তেল রাখতে হবে।
– একটা চামচে করে তুলে একটু একটু গোলা ওই তেল-ঘিয়ের মিশেলে ছাড়তে হবে, মাপ হবে এক টাকার কয়েনের মতো।
– সোনালি করে ভাজতে হবে, ভেতরটা নরম থাকলে চলবে না।
– ছেঁকে তুলে এবার পরিবেশন করা যায় এই তিলেপটেশ্বরী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dussehra, Vijaya Dashami