Friday, October 24, 2025
Home Life Style মেদ আর ঝরছে না কিছুতেই! সাত্ত্বিক আহার না কি মনিটরড ডায়েট? ওজন কমানোর সেরা উপায় জেনে নিন

মেদ আর ঝরছে না কিছুতেই! সাত্ত্বিক আহার না কি মনিটরড ডায়েট? ওজন কমানোর সেরা উপায় জেনে নিন

by blogadmin
0 comment


বৈদিক শাস্ত্রে সাত্ত্বিক আহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, এতেই শরীর সুস্থ ও নীরোগ থাকবে। ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সাত্ত্বিক আহার শুধু খাদ্য নয়, এটা এক ধরনের জীবনচর্যা। একে মানসিকভাবে গ্রহণ করতে না পারলে সাত্ত্বিক আহার বেশিদিন চালানো যাবে না। অর্থাৎ সাত্ত্বিক আহার শুরু করতে চাইলে সাত্ত্বিক জীবনযাপনও জরুরি। তাই একে লাইফস্টাইল ডায়েটও বলা যায়।

ওজন কমানোর জন্য সাত্ত্বিক আহার: সাত্ত্বিক খাদ্যের মধ্যে রয়েছে তাজা, পুষ্টিকর-ঘন খাবার। অর্থাৎ শাকসবজি, ফল, লেবু, বাদাম, বীজ, অঙ্কুরিত গোটা শস্য, তাজা ফলের রস এবং ভেষজ চা। এক বাটি কাঁচা স্যালাড একটা নিখুঁত সাত্ত্বিক আহার। কিন্তু যদি কেউ অন্ত্রের সমস্যা বা আইবিএস-এ ভোগেন তাহলে উল্টো বিপত্তি হতে পারে। তাঁর সাত্ত্বিক আহার চলবে না। অন্য ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। তাই ব্যক্তির প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যের পরিকল্পনা করাই শ্রেয়।

পেট ফুলে যেতে পারে: গ্যাস হলে যেমন পেট ফুলে যায়, সাত্ত্বিক আহারেও অনেক সময় এমনটা হতে পারে। অত্যধিক চিনি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও এমনটা হয়। ফোলাভাব এড়ানোর জন্য দুটো খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান বাড়াতে হবে। চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খাওয়া, খাবারের আগে বা পারে কিছু মুখে না তোলা, এক ধরনের খাবারের সঙ্গে অন্য ধরনের খাবার না মেশানো, খাওয়ার পর যে কোনও ধরনের স্ন্যাক্স এড়িয়ে চলা, ঘুমোতে যাওয়ার আগে দীর্ঘক্ষণ বসে না থাকার অভ্যাস করতে হবে।

আরও পড়ুন: চোখের ইশারায় কুপোকাত করেছিলেন প্রিয়া! এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই বলিসুন্দরীরাও

যে সব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করতে ও এড়িয়ে যেতে হবে: উৎসবের সময় ভারি খাবার, অত্যধিক মিষ্টি খাওয়া চলতেই থাকে। এই ধরনের খাদ্য গ্রহণ অস্বাস্থ্যকর। এর পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রক্রিয়াজাত, ঠাণ্ডা, প্রি-প্যাক করা, বেশি স্বাদের এবং মশলা, ভাজা এবং যেগুলোতে বেশি চিনি ও লবণ আছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য মিষ্টি জুস, কার্বনেটেড পানীয় এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ছুঁয়েও দেখা যাবে না।

অংশ নিয়ন্ত্রণ: কীভাবে এর মাধ্যমে ওজন কমানো যায়: খাওয়ার পরিমাণ থেকে তৃপ্তি বোধ জন্মায় না। বরং খাদ্যের সুগন্ধ, পরিপাটি আয়োজন, অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে খাওয়ার কৌশলগুলোর মাধ্যমে মানসিক তৃপ্তি অর্জন করা যায়। অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করলে শরীর তা সঞ্চয় করে রাখে। এর ফলে চিনির মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত চিনি চর্বি হিসাবে জমা হয়। অংশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শুধুমাত্র সেই মুহূর্তে শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরি এবং পুষ্টি সরবরাহ করার চেষ্টা করা হয়। এর ফলে চর্বি হিসাবে ক্যালোরি সংরক্ষণ এড়ানো যায়।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

Published by:Rachana Majumder

First published:

Tags: Weight Loss



Source link

You may also like

Leave a Comment

About Us

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum sodales, augue velit.

@2022 – All Right Reserved. Designed and Developed by Silk City Soft