শীতের দুপুরে ছাদে রোদ পোহানোর মজাই আলাদা। এতে শুধু উষ্ণতা মেলে তাই নয়, শরীরে ভিটামিন ডি-ও যায়। ভিটামিন ডি শুধু পুষ্টি নয়, একটা হরমোনও। বেশিরভাগটা আসে সূর্যালোক থেকে, বাকিটা শরীরেই উৎপাদিত হয়।
ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজগুলোকে আরও ভাল ভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে। এতে হাড় মজবুত হয়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এখানে কয়েকটি খাবার রয়েছে যা শরীরে পুষ্টির শোষণ উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
স্যলমন: স্যলমনের চর্বিযুক্ত মাছ। ভিটামিন ডি-তে ভরপুর। দেখা গিয়েছে, ১০০ গ্রাম স্যালমন মাছে ভিটামিন ডি-র দৈনিক চাহিদার ১৬০ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে।
ডিম: ডিম মানেই সুষম আহার। দামও কম। ভিটামিন ডি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং পুষ্টির অন্যতম স্বাস্থ্যকর উৎস। কোষ এবং টিস্যুর বিকাশে সাহায্য করে। হাড় মজবুত রাখে এবং অনাক্রম্যতা বাড়ায়। তবে হাঁস বা অন্যান্য ডিমের তুলনায় পোলট্রির ডিমে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ সামান্য কম।
গরুর দুধ: পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে যুগ যুগ ধরে গরুর দুধ খাওয়াই রেওয়াজ। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অসীম। গরুর দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং রিবোফ্লাভিন। হাড়ের স্বাস্থ্য বাড়ায়, অন্যান্য পুষ্টির প্রয়োজনও মেটায়। প্রকৃতপক্ষে, গরুর দুধ ভিটামিন ডি-র একটি ভাল উৎস যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
মাশরুম: মাশরুম ভিটামিন ডি-র অন্যতম বড় এবং সমৃদ্ধ উৎস। ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে আসা মাত্র ভিটামিন ডি২ সংশ্লেষিত করতে পারে। তবে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুমের তুলনায় বাণিজ্যিকভাবে তৈরি মাশরুমে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কম।
কড লিভার: অস্বীকার করার উপায় নেই চর্বিযুক্ত মাছ থেকে প্রাপ্ত কড লিভার প্রাকৃতিকভাবে হাড়ের স্বাস্থ্য এবং ভিটামিন ডি স্তরের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া, কড লিভার অয়েল বা মাছের তেল খাওয়া হাড়ের সমস্যা, রিকেটস, সোরিয়াসিস, যক্ষ্মা এবং ভিটামিন ডি -র অভাবের চিকিৎসায় সাহায্য করে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Vitamin D