শীতকাল এমন একটি সময় যখন শরীর নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। প্রয়োজনে দরজা-জানলা বন্ধ করে কম্বলের উষ্ণতা যেমন দরকার, ঠিক তেমনই শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ ও উষ্ণ রাখাও দরকার। শীতকালে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি নানা অসুখ অনেক বেশি হয়। এর জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়া দরকার। ডিম হল এমনই একটি প্রোটিন উপাদান।
মনে রাখতে হবে যে পুষ্টিকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক সংক্রামক জীবাণু ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়াতে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাই এই সময়ে নানারকমের অসুখ অনেক বেশি হয়। ডিমের প্রধান সুবিধা হল এটি শরীরকে ক্ষতিকারক জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তাই শীতকালে ডিম খাওয়া খুবই জরুরি। রইল ডিমের দুটি সুস্বাদু পদ, যা জিভে জল তো আনবেই, তাছাড়া পুষ্টিরও জোগান দেবে।
ডিমের কারি (মাখনি স্টাইল)
উপকরণ৫ টা সেদ্ধ ডিম
১/৪ কাপ দই১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা১ চা চামচ গোটা ধনে১ চা চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো১ চা চামচ জিরেনুন স্বাদ অনুযায়ী৮ থেকে ১০ গোটা আমন্ড বাদাম৮ থেকে ১০ আস্ত কাজু২ টেবিল-চামচ নুন ছাড়া মাখন, ভাগ করা১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা১ চা চামচ চিনি১টা টম্যাটো টুকরা করে কাটা২ টেবিল চামচ শুকনো ধনের বীজদেড় চা চামচ গরম মশলা গুঁড়োআধ চা চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়োআধ চা চামচ নুনএক কাপ জলআধ টেবিল চামচ কসুরি মেথি
পদ্ধতি
নরম হওয়া পর্যন্ত ডিম সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়িয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে। সেদ্ধ ডিম নিয়ে, দই এবং উল্লিখিত সমস্ত মশলার ভাল ভাবে প্রলেপ দিতে হবে। ২০-২৫ মিনিটের জন্য আলাদা করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : এত উপকারিতা ও গুণ সত্ত্বেও সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া বারণ কেন, জানুন আসল কারণ
আরেকটি পাত্রে তেল এবং আধ চা চামচ মাখন একসঙ্গে দিয়ে কাঁচা মশলা যেমন তেজপাতা, গরম মশলা, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা, গোল মরিচ, দারচিনি, আদা রসুনের পেস্ট, তার পর চিনি, ধনে এবং নুন দিয়ে ১-২ মিনিট ভাজতে হবে। তার পর আমন্ড বাদাম এবং কাজুবাদাম, পেঁয়াজ কুচি এবং টম্যাটো যোগ করতে হবে। ১০ মিনিটের জন্য চাপা দিয়ে রান্না করতে হবে। মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে বা ফুড প্রসেসরে দিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্নার পাত্রে পেস্টটি রাখতে হবে। পেস্টে জল যোগ করে একটি মসৃণ সস তৈরি করতে হবে। মাঝে মাঝে নাড়তে হবে। সস ফুটতে শুরু করলে ম্যারিনেট করা সেদ্ধ ডিম এবং ঘন ক্রিম যোগ করতে হবে। ভাল করে নাড়তে হবে। পাত্র ঢেকে ৫ মিনিটের জন্য রান্না করতে হবে।
সবশেষে আধ চা চামচ মাখন এবং কসুরি মেথি যোগ করতে হবে। আবার ঢেকে রেখে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় দিতে হবে যাতে কসুরি মেথির স্বাদ ডিমের গ্রেভির সঙ্গে মিশে যায়।
ডিমের পরোটা
উপকরণ
২টি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিমএক কাপ গোটা গমের আটাএক টেবিল চামচ তেল/ঘি১/৪ চা চামচ আদা রসুন বাটা১/৪ চা চামচ গোটা ধনে১/৪ চা চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কা২টো কাঁচা লঙ্কা কুচি১টা পেঁয়াজ কুচিনুন আন্দাজ মতো
পদ্ধতি
নরম ময়দার তাল তৈরি করে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
একটি পাত্রে দুটি ডিম ভেঙে উপরে উল্লিখিত মশলা, তাজা কাটা কাঁচা লঙ্কা এবং কাটা পেঁয়াজ যোগ করতে হবে এবং ফেনা না হওয়া পর্যন্ত ভাল করে নাড়তে হবে।
একটি পাত্র গরম করে ঘি মাখিয়ে নিতে হবে এবং ময়দার তাল তার মধ্যে মাখিয়ে নিতে হবে। লেচি কেটে, বেলে নিয়ে পাত্রে পরোটা দিয়ে দুই দিক থেকে উল্টিয়ে সেঁকতে হবে। পরোটা আধ-কাঁচা অবস্থা পর্যন্ত রান্না করতে হবে। অর্ধেক সেঁকা হয়ে গেলে সাবধানে ডিমের ব্যাটার অর্ধেকটা লেয়ারে ঢেলে দিতে হবে। দুই দিকে উল্টিয়ে সোনালি বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।