ঢাকের বোল ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসবে। বিসর্জনের পর্বও এগিয়ে আসবে পায়ে পায়ে। চার দিনের এত আনন্দ, উৎসব, আয়োজন- সব কিছুরই অবশষে অবসান হলে ফের সেই একঘেয়ে জীবন। কিন্তু তার আগে অবশ্য রয়েছে ঘরোয়া আড্ডা বা বিজয়া সম্মিলনীর একটা পর্ব। সেখানে নানা রকম বিজয়া স্পেশাল খানাপিনা তো থাকেই। সেই সঙ্গে চলা গল্প-আড্ডা। কিন্তু ঘরোয়া আড্ডা বলে কি আমরা সাজব না? সাজতে তো হবেই। না-হলে যেন সবটা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। তা-হলে দেখে নেওয়া যাক, বিজয়া দশমীর রাতে সাজগোজের টিপস।
মেয়েদের পোশাক:
যেহেতু প্যান্ডেল হপিংয়ের গল্প নেই, ঘরে কিংবা রেস্তোরাঁয় বসেই আড্ডা হবে, তাই বেছে নেওয়াই যায় ভারী সিল্কের শাড়ি। যে-কোনও প্রদেশের সিল্কের শাড়িই এ-দিনের আড্ডার জন্য পারফেক্ট হতে পারে। গাঢ় রঙের দক্ষিণী সিল্কে অতুলনীয় হয়ে ওঠাই যায়। সে-ক্ষেত্রে দারুন কাজের আর ভাইব্রেন্ট রঙের একটা কাঞ্চিপুরম সিল্ক কিংবা মহীশূর সিল্ক বাছা যেতেই পারে। এমনকী বেছে নেওয়া যেতে পারে ওড়িশা এবং অন্ধ্রের ডবল ইক্কত সিল্ক, বোমকাই, পোচমপল্লি কিংবা গাদোয়াল সিল্কও। তা-ছাড়াও বাছা যেতে পারে তসর, ঘিচা কিংবা মটকা সিল্কও। আবার হালকা কাজের বেনারসি অথবা জরির বদলে রেশম কাজের বেনারসিও দশমীর আড্ডায় মন্দ হবে না। আর সিল্কের কথাই যখন হচ্ছে, তা-হলে বাংলার বালুচরী কিংবা স্বর্ণচরীই বা বাদ যাবে কেন? বেশ সুপারগর্জাস রঙের বালুচরী অথবা স্বর্ণচরী শাড়িও এই দিনের জন্য দারুন। আবার আজকাল বাজারে অরগ্যানজা শাড়িও বেশ ইন। তাই বেছে নেওয়া যায় সেই ধরনের শাড়িও। শুধু তা-ই নয়, চান্দেরি সিল্কেও অপরূপ সাজে হয়ে ওঠা যাবে আড্ডার মধ্যমণি!
মেক-আপ এবং চুলের সাজ:
দশমীর আড্ডায় ভারি মেক-আপ নিলেও অসুবিধা নেই। যদিও সিঁদুর খেলার পরে অনেকেই ভারি মেক-আপ করতে পছন্দ করেন না। তাই তাঁরা হালকা মেক-আপও নিতে পারেন। তবে শাড়ি যেহেতু ট্র্যাডিশনাল, তাই মেক-আপেও থাকবে ট্র্যাডিশনাল ছোঁয়া। বেস মেক-আপ নিজের পছন্দ মতো করে নিতে হবে। এর পরে চোখের উপরের এবং নিচের দিকের পাতায় ঘন করে কাজল লাগিয়ে নিতে হবে। আর এ-দিনের সাজে গাঢ় শেডের মানানসই লিপস্টিক পরাই ভাল। এর পাশাপাশি শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে পরতে হবে টিপও। চুল খুলেও রাখা যেতে পারে। কিংবা চুল বড় হলে একটা বেণী করে জড়িয়ে নেওয়া যায় ফুলের মালাও। আর খোঁপা করে ফুলে মালা জড়ানোর অপশন তো সব সময়ই খোলা।
আরও পড়ুন : নবমী নিশি পোহালেই বিজয়া দশমী, বিষাদ ভুলে সনাতনী সাজে সাজুন সিঁদুরখেলায়
অন্য রকম হওয়ার চাবিকাঠি:
এই দিন ভারি সিল্কের শাড়ি পরলে গয়নার ক্ষেত্রে একটু এক্সপেরিমেন্ট করাই যায়। শুধুমাত্র সোনার গয়না না-পরে সোনা এবং রুপোর গয়না মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে পরতে পারেন মেয়েরা। একটা আলাদা লুক তো তৈরি হবেই, আর দেখতেও গর্জাস লাগবে!
ছেলেদের পোশাক:
বিজয়া দশমীতে ঘরোয়া আড্ডার জন্য ছেলেরা বেছে নিতে পারেন পাঞ্জাবি এবং পাজামা। আর সবথেকে বড় কথা হল, সিল্কের ধুতি-পাঞ্জাবি দশমীর রাতের জন্য একদম পারফেক্ট। র’ সিল্ক কিংবা মটকা সিল্কের গাঢ় রঙের পাঞ্জাবিও দুর্দান্ত দেখাবে। ভারি কাজের চিকনকারি কুর্তাও এ-দিনের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে যদি ধুতিতে স্বচ্ছন্দবোধ কেউ না-করেন, তা-হলে তিনি পরে নিতে পারেন চুড়িদার পাজামা।
আরও পড়ুন : হিমালয়ের কোলে ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার’ শিব মন্দির!
বিশেষ বিষয় :
করোনার দাপট কমলেও ভাইরাস এখনও বিদায় নেয়নি। তাই বন্ধুদের ভিড়ে যাওয়ার সময়েও মাস্কে নাক-মুখ ঢাকতে ভুলে গেলে চলবে না। প্রয়োজনে পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক নিয়ে বেরোতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।