কলকাতা : শিশু থেকে বৃদ্ধ আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় প্রতি বছরই শীতকালে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভোগেন বহু মানুষ। তবে চলতি বছরে লাগাতার কাশি খানিক হলেও ব্যতিক্রমী ঠেকছে চিকিৎসকদের। স্কুল, কলেজ, অফিস কিংবা রাস্তাঘাটে সর্বত্র ঘন ঘন বিরক্তিকর দমকা কাশির জেরে রীতিমতো জেরবার শহরবাসী। করোনা, ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া ছাড়াও বহু মানুষ এই মুহূর্তে ভুগছেন সংক্রামক সর্দিকাশিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা সর্দিকাশিতে ভুগছেন, তাঁদের ৩ জনের মধ্যে ১ জন ভুগছেন তীব্র কাশিতে। আর এটাই খানিক চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের চেম্বারে আসা অধিকাংশই তীব্র কাশির সমস্যা নিয়ে আসছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বহু মানুষ আসছেন সর্দির সঙ্গে তীব্র কাশি নিয়ে। কয়েকজনের কাশতে কাশতে পেটের যন্ত্রণার সমস্যাও হচ্ছে। কিছু রোগী নিজের মতো করে ওষুধও খাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা হল চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেয়ে হিতে বিপরীতও ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রেই কাশি কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বুধবার শপথগ্রহণ, আজ সপরিবারে কলকাতায় রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ জানাচ্ছেন ” প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তনের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট খানিক বাড়ে। এ বছরও একই। তবে দেখতে হবে এবছর অন্য নতুন কোনও ভাইরাসের দাপটের কারণে এই কাশির প্রবণতা বেড়েছে কি না! “
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারে রাজ্যে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী, বুধেই শুরু হবে মহাগুরুর সফর
বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ জানান ” এবছর জুলাই মাসের পর থেকেই শিশুদের মধ্যে সর্দি কাশির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এর কারণ দুটি বলে আমার মনে হয়। প্রথমটি হল বিভিন্ন বয়সি মানুষের যেমন করোনা হয়েছিল, তেমন এটাও ঠিক অনেকের করোনা হয়ওনি। ফলে তাঁদের করোনা ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। এই পর্বে তাঁদের মধ্যে সংক্রমণ শুরু হতে পারে। দ্বিতীয় কারণ, সম্ভবত করোনা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বড় সড় পরিবর্তন করে ফেলেছে, তাই এই কাশির প্রবণতা হতে পারে। “
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cough and cold, Winter