শীতের সময় নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনও একটা বড়সড় সমস্যা। কারণ শীতের সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া হয়ে ওঠে না। আর জলের অভাবেই সাধারণত নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। জলের পাশাপাশি শীতকালে এমন কিছু পানীয় খেতে হবে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এইসব পানীয়ের নাম-
স্যুপ: শীতকালে গরম-গরম এক বাটি স্যুপ হলেই মনটা একেবারে ভাল হয়ে যায়। এটা শুধু দেহকে হাইড্রেটই করে না, তার সঙ্গে সঙ্গে পেটও ভাল রাখে। তাই মরশুমি নানা রকম সবজি দিয়ে শীতের দিনে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে স্যুপ।
আরও পড়ুন: মরশুম বদলের জেরে গলা ব্যথায় জেরবার? ঘরোয়া টোটকাতেই হবে সমস্যার সমাধান
গ্রিন জ্যুস: অনলাইনে নানা ধরনের গ্রিন জ্যুসের রেসিপি পাওয়া যায়। কিন্তু এটা সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। তবে এমন উপাদান বাছতে হবে, যা ফাইবারে সমৃদ্ধ। কারণ ভারতীয় ডায়েটে ফাইবারের ঘাটতি থাকে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ পছন্দসই সবজি, ফল এবং ভেষজ দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে গ্রিন জ্যুস। এটা দেহের দৈনিক নিউট্রিয়েন্টের চাহিদা পূরণ করে। গ্রিন জ্যুস দেহকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
লেমোনেড: লেমোনেড এমন একটি পানীয়, যা বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। শীতের দিনে এক গ্লাস লেমোনেড হজম শক্তি বাড়াবে। ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি সাধন ঘটায়। কারণ এই পানীয় ভিটামিন সি-তে ভরপুর। যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:বদহজমের সমস্যা থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছেন না? নিমেষেই আরাম দেবে এই ৫ উপাদান
ভেষজ চা বা হার্বাল টি: শীতের দিনে গরম-গরম চা খেলে শরীর ও মন উভয়ই তরতাজা হয়। আর এক এক ধরনের চায়ে রয়েছে এক এক রকম উপকারিতা। অনেকেই রাতের দিকে গ্রিন টি অথবা ক্যামোমাইল চা পান করতে পছন্দ করেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রকম চায়ে চুমুক দিতেই হবে।
পেপারমিন্ট চা: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং মাথা যন্ত্রণা উপশম করতে সহায়ক এই চা।
হিবিসকাস টি: জবা ফুল চুলের জন্য তো ভালই, এটা শরীরের জন্যও ভাল। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এই চা।
জিঞ্জার টি: বদহজম প্রতিরোধ করার পাশাপাশি গাঁটে ব্যথা বা জয়েন্ট পেনও উপশম করে এই আদা চা। তবে এই সব চা অতিরিক্ত খেলে চলবে না। দিনে খুব বেশি হলে ২ কাপ খাওয়া যেতে পারে।
হলুদ-দুধ বা হলদি দুধ: দুধ প্রতিটা ভারতীয় ঘরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। একে গোল্ডেন মিল্ক বা সোনালি দুধও বলা হয়। দুধ আসলে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। আর দুধের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। আর হলুদ তো ইমিউনিটি বাড়ায়ই। এর পাশপাশি এতে উপস্থিত রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ-দুধ খেলে শরীর ভাল থাকে।
তবে মনে রাখতে হবে যে, জল কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতেই হবে। জল খাওয়ার কথা মনে রাখতে না-পারলেও ফোনে রিমাইন্ডার সেট করতে হবে। আর দিনে আমরা কতটা জল পান করছি, তার হিসেব রাখতে হবে। আর একটা বিষয়, শীতকালে আমাদের ক্যাফিন খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে হবে। কারণ এটা শরীরকে আরও ডিহাইড্রেটেড করে দিতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dehydration