ভোজনরসিক বাঙালির উৎসব সম্পূর্ণই হয় না কবজি ডোবানো খাওয়া দাওয়া ছাড়া! পুজো পার্বনে উপোস, সংযম ইত্যাদির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে রসনা বিলাসের নিখুঁত আয়োজন।
এই যেমন ষষ্ঠীর কথাই ধরা যাক। বঙ্গদেশের বেশ কিছু এলাকার বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মহিলাদের মধ্যে সারা বছরে ছ’টি ষষ্ঠী পালন করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। যার অন্যতম দুর্গা ষষ্ঠী। শাস্ত্রানুসারী না হলেও গ্রামীণ বা ঘরোয়া পরিবেশে মেয়েলি ব্রত হিসেবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সংসার ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় এ দিন পুজো করেন বাড়ির মহিলারা। সারাদিন নানা সংযম পালন করেন। তারই অন্যতম হল অন্ন গ্রহণে বিরত থাকা। এ দিন বাড়ির গৃহিণী ভাত খান না। বরং বেছে নেন লুচি, ফলার।
কিন্তু সেই ছুতোয় ষষ্ঠীর দিন অনেক বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজের পাতে পড়ে লুচি।
আরও পড়ুন : সঙ্গমে অনিচ্ছা? যৌন জীবনে জোয়ার আনবে এই সমস্ত খাবার
গরম গরম লুচি আর ছোলার ডাল ষষ্ঠীর দিনের অন্যতম আকর্ষণ অনেকের কাছেই। সকালের জলখাবার হোক বা একেবারে মধ্যাহ্নভোজ পুজোর শুরুটা লুচি দিয়ে হলে মন্দ কী!
লুচি বিষয়টা বাড়িতে তৈরি করে নেওয়াই সব থেকে ভাল। তবে সময়ের অভাব হলে বাইরে থেকে আনিয়েও নেওয়া যায় আজকাল। এখন বেশির ভাগ বাঙালি খাবার রেস্তোরাঁয় লুচির প্ল্যাটার থাকেই। বিশেষত এই পুজোর সময় সে সবের চাহিদা বেশ তুঙ্গে থাকে। তা ছাড়া এখন তো প্রায় সব অঞ্চলেই রয়েছে ঘরোয়া হেঁসেলের ব্যবস্থা।
গত কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই ব্যবসা। বিশেষত করোনা অতিমারীর সময় থেকে বাড়ি বাড়ি রান্না করা ঘরোয়া খাবার পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়েছে। তেমন কোনও স্থানীয় বুটিক থেকে আনিয়েই নেওয়া যায় লুচি, ছোলার ডাল। সঙ্গে থাকতেই পারে একটা দারুন সুস্বাদু আলুর দম।
ফুড বুটিকগুলো সাধারণ প্যাকেজে খাবার দিতে পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে লুচি, আলুর দম বা ছোলার ডালের সঙ্গে বলে দেওয়া যেতে পারে এক বাটি পায়েস। যাঁরা এ দিন অফিস যাবেন, তাঁরাও দুপুরে এমন কোনও বুটিক থেকে অফিসেই ডেলিভারি নিতে পারেন লুচির প্ল্যাটার।
আর মিষ্টি ছাড়া কি বাঙালির কোনও অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে পারে? ফলে পুজোর শুরুটা দরবেশ হোক বা গরম রসগোল্লা, সীতাভোগ হোক বা ছানার জিলিপি- মনের মতো মিষ্টি আনিয়ে নিলেই দুপুরের ভোজ জমজমাট!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja 2022