গ্রীষ্ম হোক কিংবা শীত, বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন মাস্ট। এটাই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকের অকাল বার্ধক্য এবং ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে কয়েকটা মাখলে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। সঙ্গে লালভাব, ফুলে যাওয়া, চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
সানস্ক্রিনে অ্যালার্জি: আসলে সানস্ক্রিনে উপস্থিত কিছু উপাদানের কারণে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। বিশেষ করে বেনজোফেনোনস, ডিবেনজয়াইলমিথেনস থাকলে তো কথাই নেই। কারও কারও আবার সুগন্ধীর কারণেও অ্যালার্জি হয়। তাই ত্বকের যত্নে যে কোনও নতুন পণ্য ব্যবহার করার আগে যেমন প্যাচ টেস্ট করা হয়, সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগেও এটা জরুরি।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ঘামের কারণে টাক পড়তে পারে! চুলের গোড়া মজবুত হবে সহজেই, রইল টিপস
সানস্ক্রিনের প্রকারভেদ: মূলত দুধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। রাসায়নিক এবং শারীরিক। রাসায়নিক সানস্ক্রিনগুলো ইউভি রশ্মি শোষণ করে এবং ত্বকে পৌঁছতে বাধা দেয়। অন্য দিকে শারীরিক সানস্ক্রিনগুলিতে জিঙ্ক অক্সাইড এবং টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইডের মতো খনিজ পদার্থ থাকে। এটা ইউভি রশ্মিকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: বাজারের নামী-দামি ব্র্যান্ডকেও হার মানাবে এই হোমমেড হেয়ার কন্ডিশনার
ত্বকের প্রতিক্রিয়া: তিন ধরনের কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস আছে যা সানস্ক্রিন সংবেদনশীলতা এবং অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে। প্রথমত, সংবেদনশীল ত্বক বা একজিমা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দ্বিতীয়ত, সানস্ক্রিনের বিশেষ উপাদান থেকে অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। তৃতীয়ত, সানস্ক্রিন ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে এলেও অ্যালার্জি হতে পারে।
লক্ষণ: সানস্ক্রিন লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্জি হতে পারে। কখনও একটু সময় লাগে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্বকের লালভাব বা ফোলাভাব, চুলকানি, বাম্প বা আমবাত, স্কেলিং বা রক্তপাত, ফুসকুড়ি। জেরোসিস, একজিমা এবং সোরিয়াসিস থাকলে সানস্ক্রিন অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি।
চিকিৎসা: সানস্ক্রিন থেকে হালকা অ্যালার্জি হলে ঠান্ডা জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্পূর্ণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত রোদে বেরনো উচিত নয়। আক্রান্ত স্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এতে জায়গাটা ময়েশ্চারাইজ থাকে।
মাঝারি থেকে গুরুতর অ্যালার্জি হলে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা কম্প্রেস করতে হবে। ত্বকের ময়েশ্চারাইজার, যেমন পেট্রোলিয়াম জেলি বা ক্যালামাইন লোশন লাগানো যায়। আর চুলকানি নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টিহিস্টামিন। টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েড এবং অ্যান্টিবায়োটিক ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Healthy Skin, Skin Care Tips, Sunscreen