খাতায়-কলমে যা শুরু হওয়াটাই বাকি, আবাহন-বিল্বমূলে বোধন অন্তে বাকি দেবীর তন্দ্রাত্যাগ৷ শহরের তন্দ্রা কিন্তু ইতিমধ্যেই অন্তর্হিত, শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীদর্শনের পালা। তবে যত-ই যাই হোক, অস্বীকার করার উপায় নেই যে দুর্গা ষষ্ঠী আদতে উৎসব শুরুর দিন, আদ্যন্ত ঘরোয়া আমেজে মোড়া। এই দিনের উদযাপন তাই অফিস-কাছারি থেকে শুরু করে বাড়ি- সর্বত্রই সুস্বাদের সঙ্গতে।
বাড়ির কথা উঠলে খাওয়াদাওয়া নিয়ে বিশেষ করে পবিত্রতার প্রসঙ্গ আসে- সন্তানের কল্যাণার্থে এদিন ঘরে ঘরে ষষ্ঠীর উপবাস উদযাপনই রীতি। তার মিষ্টিমুখের তালিকায় যদি ঘরে তৈরি কিছু রাখতে হয়, সকরপারার চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কিছু হতেই পারে না।
সকরপারার মূলে আছে সংস্কৃত শর্করা আর আরবি পারা শব্দের যুগলবন্দি। শর্করার অপভ্রংশ সকর, অর্থ চিনি। আর পারা বলতে আরবিতে বোঝায় খণ্ড। অতএব, সুস্বাদু মিষ্টি খণ্ড খণ্ড এই খাবার যে জনপ্রিয় হবে, তাতে আর আশ্চর্য কী। বিশেষ করে এই সকরপারার উপাদানও হিন্দুর কাছে অতি পবিত্র, ফলে এক সময়ে দেবতার ভোগেও রেওয়াজ ছিল তা নিবেদনের। খাস বাংলার সাবেকি এই মিষ্টি এবার কীভাবে বানাতে হবে, তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ
ময়দা- ২৫০ গ্রাম
দুধের সর- ১ কাপ
কাজুবাদাম- ১০০ গ্রাম
চিনি- ২ কাপ
ছোট এলাচ- ১০টা
ঘি- ২ চা-চামচ
সাদা তেল- মাপ মতো
প্রণালী
– সবার প্রথমে ২ কাপ জল একটা পাত্রে গরম করতে দিতে হবে। জল গরম হলে এর মধ্যে ২ কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে। রস হালকা ঘন গোছের হবে, একেবারে ট্যালটেলে হবে না।
– এলাচের খোসা ছাড়িয়ে দানাগুলো মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। ওই গুঁড়ো ময়দা মাখার মতো জলে গুলে রাখতে হবে।
– কাজুবাদাম বেটে নিতে হবে।
– এবার দুধের সর দিয়ে ময়দাটা মাখতে হবে ভাল করে।
– সর মিশে গেলে বাদামবাটা আর এলাচ গুঁড়ো মেশানো জল দিয়ে লুচি মাখার মতো বেশ করে ময়দা ঠেসে নিতে হবে।
– লেচি করে চৌকো আকারে কেটে নিতে হবে ছোট ছোট টুকরো।
– এবার একটা কড়ায় সাদা তেল আর ঘি একসঙ্গে গরম করে নিতে হবে।
– একে একে চৌকো করে কাটা টুকরোগুলো ভেজে নিতে হবে। ভাজা হবে মাঝারি- একেবারে নরমও থাকবে না, আবার কড়া মুচমুচেও হবে না।
– এবার তেল ছেঁকে টুকরোগুলো চিনির রসে ফেলে মাখিয়ে নিলেই পরিবেশনের জন্য সকরপারা তৈরি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja 2022, Sweets