#কলকাতা: সংক্রমণ কমেছে। কিন্তু করোনা এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। তাই মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যেতে হবে। এর প্রধান কারণ ভাইরাসের প্রকৃতি।
যে কোনও মুহূর্তে রূপ বদলাতে পারে করোনা। হাজির হতে পারে নয়া ভ্যরিয়েন্টে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি ঝুঁকি নিয়ে এখনও সাবধানে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ হয় কেন জানেন? রোগমুক্ত হতে আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান
অনেক দেশেই এখনও কোভিডের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী: ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ভাইরাস এবার পাততারি গোটাচ্ছে ঠিক তখনই বেশ কয়েকটি দেশে মাত্রা ছাড়া সংক্রমণ শুরু হয়। এর মধ্যে চিন অন্যতম। সে দেশে হু-হু করে বাড়ছে করোনা।
সংক্রমণ রোধে ‘জিরো কোভিড নীতি’ লাগু করেছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। কিন্তু এই নীতির বিরোধিতায় পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে চলছে বিক্ষোভ, ধর্না। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
করোনা শুধু শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নয়: লং কোভিডের সঙ্গে মোটামুটি সবাই পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এর উপর কাজ শুরু করেছে। করোনা আক্রান্ত হলে প্রথমে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পাশপাশি শরীরের প্রধান অঙ্গগুলিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়ছে, করোনা আক্রান্ত তরুণরাও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় ভুগছেন। ফুসফুস এবং কিডনির নানা জটিলতাও দেখা দিচ্ছে।
ভাইরাস দ্রুত রূপ বদল করছে: গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টই ডালপালা মেলছে। তবে ইতিমধ্যেই এর দুটি সাব ভ্যরিয়েন্টের হদিশ মিলেছে।
ওমিক্রনের পরিবর্তনশীল প্রকৃতি সম্পর্কে গবেষকরা বলছেন, ‘ওমিক্রন দ্রুত ছড়ায়। মিউটেশনের যথেষ্ট সুযোগও পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সাব ভ্যরিয়েন্টের জন্ম দিয়েছে ওমিক্রন’।
আরও পড়ুন- রেস্তরাঁয় গেলেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন? এই টিপস মেনে চললে মনও ভরবে, ওজন বাড়বে না
প্রতিটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক: ওমিক্রন তো বটেই, এর প্রতিটি সাব ভ্যরিয়েন্টেরও সংক্রমণ ক্ষমতা কম নয়। কেন এটা দ্রুত ছড়াচ্ছে তার কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রথমত, ভাইরাসে পাওয়া মিউটেশনগুলি সরাসরি কোষের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। দ্বিতীয়ত এর অনাক্রম্যতা এড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ মানুষ সহজেই পুনরায় সংক্রমিত হতে পারে।
শুধু মিউটেশন নয়, রিকম্বিন্যান্টসও বড় ঝুঁকি: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমরা মিউটেশনকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছি না। রিকম্বিন্যান্ট স্ট্রেনগুলিও মাথাব্যথা। অদলবদল হওয়ার কারণে রিকম্বিনেশন হয়। এটা বড় ঝুঁকি। এখন পর্যন্ত, রিকম্বিন্যান্টগুলি কোনও বড় সংক্রমণের কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ঝুঁকি থেকেই যায়। ফলে এখনই মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যগত পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস ছাড়লে চলবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Mask