Puja Special Recipe: হাজার হোক, বাঙালির জাতীয় উৎসব- পাতে একটু মাছ না পড়লে চলে! ওদিকে মাছের যে সব মুখরোচক পদ হয়, যেমন কালিয়া, মালাইকারি, ঝাল সে সব তো আকছার খেয়ে বাঙালি পুরনো করে ফেলেছে। পুজোর দিনে তাই বাংলার অধুনা বিলুপ্ত মাছের শুক্তো জিভে ঠেকানো যাক! শুক্তোর পাট হালে অনেক বাঙালি বাড়ি থেকেই উঠেছে, আমিষ শুক্তো তো বিশেষ করে অনেকেরই অজানা! তাই পুজোর দিনে যদি সরু চালের ভাতের সঙ্গে সবার প্রথমে পাতে রুই মাছের শুক্তো পড়ে, মন্দ হয় না! বড় যে কোনও মাছ দিয়েই এই শুক্তো রাঁধা যায়, দামের কথা খেয়াল রেখে না হয় রুই চলুক! এবার ও-পার বাংলার সাবেকি এই জনপ্রিয় পদ কীভাবে বানাতে হবে, দেখে নেওয়া যাক সেটাই!
উপকরণ
- রুই মাছ- গাদা ৪টে
- করলা- ২টো
- পটল- ৪টে
- আলু- মাঝারি মাপের ২টো
- কাঁচকলা- ২টো
- বেগুন- ১টা
- পেঁপে- অর্ধেকটা
- গোটা মেথি- ১/২ চা-চামচ
- শুকনো লঙ্কা- ৩টে
- গোটা সরষে- ১/২ চা-চামচ
- তেজপাতা- ৪টে
- হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা-চামচ
- আদাবাটা- ১ চা-চামচ
- সাদা তেল- মাপমতো
- নুন- স্বাদমতো
আরও পড়ুন – কাড়ি কাড়ি ওষুধ ফেল! হাজার চেষ্টাতেও ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হয় না, চমকপ্রদ ‘ফল’ দেবে এই ‘ফুল’!
আরও পড়ুন – কোলেস্টেরল-আতঙ্কে পুজোর ভোজে চিন্তা, বিশেষ পানীয় রয়েছে তো
প্রণালী
– সবার প্রথমে আনাজগুলো ডুমো ডুমো করে কেটে নিতে হবে।
– ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে।
– এবার কড়ায় তেল গরম করে আনাজগুলো সোনালি রঙে ভেজে নিতে হবে।
– অন্য একটা কড়ায় তেল দিয়ে তেজপাতা, গোটা মেথি, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে।
– অল্প নেড়ে, সুগন্ধ বের হয়ে এলে ভাল করে ধুয়ে রাখা মাছের গাদাগুলো তাতে ছাড়তে হবে।
– অল্প আঁচে ভেজে নিতে হবে গাদাগুলো এ-পিঠ, ও-পিঠ ভাল করে।
– হালকা সোনালি রঙ ধরলেই নুন-হলুদ পরিমাণ মতো জলে গুলে ঢেলে দিতে হবে।
– ঝোল ফুটলে ভেজে রাখা আনাজগুলো দিতে হবে।
– বেশ সেদ্ধ হয়ে গেলে আনাজ এবং মাছ হাতা দিয়ে ভেঙে নিতে হবে।
– ঝোল গা-মাখা ধরনের শুকিয়ে এলে আদাবাটা দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করা যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।