শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা যত বাড়বে, ততই চিন্তা বাড়ে। কারণ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণে শরীরে একাধিক রোগের সংক্রমণ বাড়ে। হৃদরোগ, যকৃত সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই সঠিক সময়ে শরীরের খেয়াল রাখা দরকার এবং নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কী ভাবে বোঝা যাবে যে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে? বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে এই প্রতিবেদনে-
কিভাবে উচ্চ কোলেস্টেরল নিতম্বের পেশী বা গ্লুটিয়াল পেশী প্রভাবিত করে?
কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবথেকে চিন্তার তা হল, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যে বাড়ছে তা আগাম কোনও পূর্বাভাস দেয় না। কোলেস্টেরল যখন বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে যায় তখনই শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পায়।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে পায়ের বিভিন্ন শিরা ও ধমনী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত পায়ের বিভিন্ন কোষে পৌঁছতে পারে না। যার ফলে পা ভারী হয়ে যেতে পারে। এবং পা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এমন একটি পেশী যা সম্ভবত প্রথমে প্রভাবিত হয় নিতম্বের পেশী। উচ্চ কোলেস্টেরল সহ অনেক মানুষ বলেন যে তাঁরা আগে নিতম্ব অঞ্চলে ভয়ানক ব্যথা অনুভব করেছে।
আরও পড়ুন : আমাকে এতো গালাগাল দেবেন না প্লিজ, হাত জোর করে ‘বড়’ দাবি প্রসেনজিতের! সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়
কেন এটি গুরুতর উদ্বেগ?
নিতম্ব অঞ্চলে ব্যথা হলেই আমরা হাড়ের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ধরে নিই। প্রায়শই আর্থ্রাইটিসের মতো হাড় সম্পর্কিত সমস্যার কারণে দেখা যায়।
যাইহোক, নিতম্বের পেশী এবং কোলেস্টেরলের মধ্যে সংযোগটি সাধারণ মানুষ খুব কমই বোঝে।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে শরীরের শুধুমাত্র পায়ে আক্রমণ করে এমনটা নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আঘাত করতে পারে। ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে যাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে ব্রেনে রক্ত পৌঁছয় না। ফলস্বরূপ ব্রেন স্ট্রোক দেখা দিতে পারে। অন্য দিকে, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে হার্টেও সঠিক পরিমাণে রক্ত পৌঁছয় না। এবং সেক্ষেত্রেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লক্ষণ কি?
পায়ে ব্যথা, লেগ ক্রাম্প, ত্বক এবং নখের রঙ পরিবর্তন, পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হয়ে যায় ইত্যাদি উপসর্গ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।
আরও পড়ুন : প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন কৃতি-প্রভাস? বরুনের কথায় শোরগোল বলিপাড়ায়
কী কী ভাবে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব?
যে সব খাবারে অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাট থাকে সেই সব খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। খাসির মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ঘি, মাখন খাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
কাঁচা নুন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ধূমপান সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। দৈনিক কম করে ৩০ মিনিট শরীর চর্চা করতে হবে।
(এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bad Cholesterol, Cholesterol, Cholesterol Level, Health, Health Benefits, Health Tips, High Cholesterol, High Cholesterol Control