কার্তিক মাস চলছে। বাতাসে ঠান্ডা-ঠান্ডা ভাব। আবহাওয়া দফতর বলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে শীত পড়বে। আর তার পরেই শুরু হয়ে যাবে বিয়ের মরশুম। বিয়ে নিজের হোক কিংবা আত্মীয়-বন্ধুর, সাজে ত্রুটি থাকলে তো চলবে না। আরও একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, প্রতিটা অনুষ্ঠানে মেকআপ আলাদা হওয়া উচিত। তবেই তো আলাদা দেখাবে। শুধু তাই নয়, মেকআপ ভাল হলে ছবি বা ভিডিওতেও ভাল দেখাবে। এখানে ধাপে ধাপে ব্রাইডাল মেকআপ লুক নিয়ে কিছু টিপস দেওয়া হল। এগুলো বাড়িতেই করে নেওয়া যায়, বিউটি পার্লারে যাওয়ার দরকার নেই।
ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার: বিয়ের দিন মেকআপের আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। প্রথমে গরম জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তারপর ক্লিনজার লাগিয়ে ঠান্ডা জলে পরিষ্কার। গরম জল ত্বকের ছিদ্র খুলে দেয়। আর ঠান্ডা জল বন্ধ করে।
মেকআপের বেস: ব্রাইডাল মেকআপ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে বেস যেন মুখের রঙের সঙ্গে হুবহু মিলে না যায়। ত্বকের টোন যা হোক না কেন বেস একই রাখতে হবে। অনেকে মুখ ফর্সা দেখাতে গিয়ে অন্য বেস ব্যবহার করে। এতে মুখ ফর্সা হয় কিন্তু ঘাড় আর হাতের রঙ আলাদা হয়ে যায়। স্কিন টোনের কথা মাথায় রেখে ফাউন্ডেশনের শেডও বেছে নেওয়া উচিত।
সানস্ক্রিন বা ময়শ্চারাইজার: এ দেশে বিয়ের অনুষ্ঠান রাতেই হয়। তবুও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ফাউন্ডেশনের বদলে ময়শ্চারাইজার মিশিয়ে সানস্ক্রিন লাগানো যায়। ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক শুষ্ক হবে না। মেকআপও ড্রাই স্ক্র্যাবের মতো দেখাবে না।
আরও পড়ুন : স্ট্রেটনিং-এই লুকিয়ে মারণ রোগ? আয়ুর্বেদ চিকিৎসক জানাচ্ছেন নিখুঁত চুলের সহজ ঘরোয়া উপায়
ঠোঁটের মেকআপ: কনের সাজে সাধারণত লাল কিংবা মেরুন লিপস্টিকই লাগানো হয়। তবে লিপস্টিক লাগানোর আগে লিকুইড ফাউন্ডেশন দিয়ে ঠোঁটে বেস দিয়ে নিতে হবে। এতে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এরপর লিপলাইনারের সাহায্যে ঠোঁটকে শেপ করে লাগাতে হবে লিপস্টিক। সবশেষে ঠোঁটে উজ্জ্বলতা আনাতে লিপগ্লস ব্যবহার করা যায়।
ডার্ক সার্কল থাকলে: মুখের ডার্ক সার্কল ঢেকে রাখতে ভাল কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। ক্রিম টেক্সচারের সঙ্গে কনসিলার ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। শুধু একটা আঙুল দিয়ে লাগিয়ে নিলেই হবে। উজ্জ্বল পণ্য এড়িয়ে যাওয়া উচিত, না হলে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বললে মুখ সাদা হয়ে যাবে।
ব্লাশার দিয়ে ফাইনাল টাচ: ফাউন্ডেশনের মতো, ব্লাশের একই শেড সবাইকে মানায় না। ত্বকের টোনের সঙ্গে মানানসই এবং মুখকে উজ্জ্বল করে এমন একটি শেড বেছে নিতে হবে। ব্লাশ দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে মনে হলে প্রথমে প্রাইমার লাগিয়ে নেওয়া উচিত। এতে সাজ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Make Up Tips, Wedding season