চুল ঝরে যাওয়া অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো। তখন মনে সব সময় একটাই দুশ্চিন্তা কাজ করে। আর সেটা হল- চুল ঝরে যেতে যেতে একটা সময় বোধহয় মাথাটাই খালি হয়ে যাবে। বাজারচলতি বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করেও এই সমস্যার সমাধান হয় না। উল্টে প্রচুর টাকা জলের মতো খরচ হয়ে যায়। অথচ এই সমস্যার সমাধান কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে আমাদের বাড়ির রান্নাঘরেই।
পিঁয়াজের রস: একটা বড় পিঁয়াজ থেঁতো করে নিয়ে তার থেকে রসটা বার করে নিতে হবে। এর পর একটা তুলোর বল পিঁয়াজের রসে ভিজিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিতে হবে। ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে ইষদুষ্ণ গরম জল ও শ্যাম্পু দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে স্ক্যাল্পে বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ হয় এবং মাথায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
আরও পড়ুন: সাবধান! শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে, এই লক্ষণগুলি দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ডিম: একটা ডিম ভেঙে ডিমের সাদা অংশটা একটা বাটিতে নিয়ে নিতে হবে। এ-বার তাতে টক দই যোগ করতে হবে। এর পর চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিতে হবে। ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে তা শ্যাম্পু এবং ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আসলে প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম হেয়ার ফল বা চুল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
কারি পাতা: কারি পাতা বেটে নিয়ে সরাসরি তা চুলে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট মতো তা রাখার পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুল তো ঘনই হয়। সেই সঙ্গে কারি পাতা চুলকে পেকে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।
অ্যালো ভেরা: তাজা অ্যালোভেরা জেল স্ক্য়াল্পে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে দিতে হবে। এর পর জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যালোভেরা জেল স্ক্যাল্প পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা-পোড়া প্রশমিত করে। ফলে চুলকানি কিংবা সাদা ফ্লেকসের সমস্যাও দূর হয়।
আরও পড়ুন: ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ দূর করতে চান? সহজ পদ্ধতি জেনে নিন
ফ্লেক্স সিড: ফ্লেক্স সিড পিষে নিয়ে সেটা দিয়ে স্যালাড কিংবা স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে চুল এবং চুলের ফলিকল মজবুত হয়। আসলে চুলকে ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ফ্লেক্স সিড।
নারকেলের দুধ: চুলের গোড়ায় নারকেলের দুধ নিয়ে মাসাজ করতে হবে। ১০ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। নারকেলের দুধ চুলের শুষ্কতা দূর করে চুলকে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার করে তোলে। চুলের ফলিকলকেও সুস্থ রাখে এই উপাদান।
আমলকি এবং লেবুর রস: ১ চা-চামচ আমলকি গুঁড়ো এবং ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। ৪০ মিনিট মতো এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিতে হবে। আমলকি আর লেবুর রস চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে পেকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
গ্রিন টি হেয়ার মাস্ক: এক কাপ গরম জলে ১-২টি গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। চা জলে পুরোপুরি ভাবে মিশে গেলে তা ঠান্ডা করে নিতে হবে। এই চায়ের জল হালকা হাতে স্ক্যাল্প ও চুলের গোড়ায় ভাল করে ম্যাসাজ করতে হবে। এর পরে ঠান্ডা জল দিয়ে চুলটা ধুয়ে নিতে হবে। এই হেয়ার মাস্কে চুল গজাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত হেয়ার ফল কমাতেও সাহায্য করে।
মেথি: ২ টেবিল-চামচ মেথি রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিতে হবে। এই পেস্ট স্ক্যাল্পে লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই উপাদান চুলে পুষ্টি জোগায় এবং চুলও ঘন হয়।
বিটরুট: ৭-৮টা বিটরুটের পাতা এবং ৫-৬টি হেনা পাতা ভাল করে পিষে নিতে হবে। এই পেস্ট চুলের স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখার পর ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে স্ক্যাল্প পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে হেয়ার ফলিকলও ভাল হয়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hair Fall, Hair Fall Remedies