নিয়মিত চুলে ব্লো-ড্রায়ার ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু বিশেষ দিনগুলিতে একটু বিশেষ সাজের জন্য ব্লো-ড্রাইয়ের কোনও বিকল্প নেই। তবে তা ঠিক ভাবে করা প্রয়োজন। আর বাড়িতে একা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুলের বাহার ফুটিয়ে তোলা মুখের কথা নয়। তবে তার কিছু কৌশল রয়েছে, যা আয়ত্ত করে ফেলতে পারলেই কেল্লা ফতে।
এক এক রকম চুলে এক এক রকম ভাবে ড্রায়ার ব্যবহার করা প্রয়োজন। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
ঘন চুলের জন্য
এই ধরনের চুলের জন্য কোনও ভাবেই আগে থেকে তৈরি না হয়ে স্টাইলিং করা যাবে না। চুল মসৃণ ও প্রাইম করতে এবং তাপ ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করতে ব্লো-ড্রাই লোশন ব্যবহার করতে হবে। তাতে শুধু যে ব্লো-ড্রাই করা সহজ হবে তা-ই নয়, এতে হেয়ার স্টাইলও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
প্রথমে চুলের জল খানিকটা শুকিয়ে নিয়ে পছন্দের স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করতে হবে। তারপর যেমন খুশি ব্লো-ড্রাই করা যেতে পারে। এতে সময়ও বাঁচবে অনেকটা।
সে ক্ষেত্রে শুধু মাত্র চুলের উপরের অংশটিতে ব্লো-ড্রাই করা খুব ভাল উপায় হতে পারে। গরম রোলার ব্যবহার করে বা চুলে আয়তনের জন্য পিছনের দিকে ব্লো-ড্রাই করেও স্টাইলিং করা যেতে পারে।
পাতলা চুলের জন্য
চুল খুব পাতলা হলে বাতাসে স্যাঁতসেঁতে ভাব তার ঘনত্ব আরও কমিয়ে দিতে পারে। তার ফলে চুল আরও পাতলা দেখায়। এমন চুলের অবস্থা হলে প্রথমেই আর্দ্রতা কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। মসৃণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ফিনিশের জন্য প্রথমেই চুল আর্দ্র থাকা অবস্থায় একটি হালকা লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করে নিতে হবে। ব্লো-ড্রাইংয়ের পরেও সেরাম দিয়ে চুলের গোড়াগুলি বেঁধে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন- ফের বাড়ছে করোনার উৎপাত! মাস্ক না পরলে কী হতে পারে জেনে নিনআরও পড়ুন- চুলে তেল দিলে কি খুশকি বাড়ে? শীতের মুখে জেনে রাখুন সহজ সমাধান
যদি কেউ চান তা হলে এই ধরনের চুলের ক্ষেত্রে ভলিউমাইজিং পণ্য ব্যবহার করতে পারেন ব্লো-ড্রাই করার আগে। চুলের গোড়ায় সাধারণত মুজ বা থিকেনিং ক্রিম ব্যবহার করা হয়। অন্য দিকে, ব্লো-ড্রাই করতে হবে বিশেষ পদ্ধতিতে। চুল সাধারণত যে ভাবে বসবে তার বিপরীত দিকের গোড়ায় হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি নরম ব্রিসলযুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
পোশাক পরার সময়ই ভেজা চুল কিছুটা শুকিয়ে নিলে ভাল হয়। তারপর একটি ভলিউমাইজিং স্প্রে লাগিয়ে নিতে হবে। রোলার ব্যবহার করা যেতে পারে। যত বেশিক্ষণ রাখা যায় ততই ভাল।
কোঁকড়া চুলের জন্য
কোনও ডিফিউজার ব্যবহার করলে কোঁকড়া চুলে ব্লো ড্রাই করাও স্ট্রেট চুলের মতোই সহজ হতে পারে। প্রথমে একটি ভেজা তোয়ালে নিয়ে শুকনো চুলে লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর ব্লো-ড্রাই ক্রিম লাগানো যেতে পারে। মাঝারি আঁচে ডিফিউজারে আলতো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এতে ঘন বা এলোমেলো চুলও প্রাকৃতিক ভলিউম পাবে এবং আরও সমানভাবে শুকাতে সাহায্য করবে।
কার্ল বাম লাগিয়ে নিলে চুলে একটা সংগঠিত আকার দেওয়া সহজ হবে। যদি বাম না থাকে তা হলে ভাল লিভ-ইন কন্ডিশনার বা তেল দিয়েও একই রকম কাজ করে নেওয়া যেতে পারে।
অ্যাফ্রো কার্লের জন্য
সাধারণত ভারতীয় মহিলাদের চুলে এমন জোরালো কার্ল থাকে না। তবে বিরল হলেও অনেক সময় এমনটা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে একটি প্রোফেশনাল হেয়ার ড্রায়ার দরকার। সব সময় সরু মুখের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হবে। মুখ সরু হলে বায়ু প্রবাহের চাপ বৃদ্ধি পায়।
প্রাকৃতিক ব্রিসল-যুক্ত চুলের ব্রাশ ব্যবহার করলেও ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। তবে, চুলের গোড়া মসৃণ করতে গরম বাতাস ব্যবহার করতে হবে অল্প সময়। পরে ঠান্ডা বাতাস ব্যবহার করতে হবে, কারণ না হলে চুল ভেঙে যেতে পারে।
কার্ল বা ফ্রিজকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে একটি লিভ-ইন ময়েশ্চারাইজারে লাগান যেতে পারে। নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করে ধীরে ধীরে চুল আঁচড়ে ব্লো-ড্রাই করতে হবে।
লম্বা চুলের জন্য
খুব লম্বা চুল দ্রুত শুকানোর জন্য বৃত্তাকার গতিতে শুকিয়ে নেওয়া যেতে পারে। রাতে ঘুমনোর আগে চুল ব্লো-ড্রাই করে মাথার উপরে একটি আলগা খোঁপা করে নেওয়া যেতে পারে।
সাধারণত কার্লগুলিতে ব্লো-ড্রাই করার আগে সেগুলিতে পিন সেট করে নেওয়া যেতে পারে। তাতে খুব সহজে চুল শুকিয়ে ফেলা বা স্টাইল করা সম্ভব।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hair Care, Hair Care Tips