#কলকাতা: উইক এন্ডে বিয়ার পার্টি জেন ওয়াইয়ের মধ্যে বিশেষভাবে প্রচলিত। ঠান্ডা একগ্লাস বিয়ার আর মুচমুচে স্ন্যাক্স। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষে উধাও। বিশেষ করে এই গরমে তো রোজই বিয়ার পার্টি করতে মন চায়। তবে এই নিয়ে অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে (Drinking Beer in Summer)।
প্রতিদিনের ভাত, ডাল, তরকারি থেকে আমাদের শরীর যেমন পুষ্টি পায় তেমনই বিয়ার থেকেও পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি। তবে অবশ্যই তা পরিমিত হতে হবে। একটু হিসেব করে খেলে তখনই তা শরীরের উপকারে লাগবে।
এই গরমে কীভাবে পান:
১। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কোনও কিছুই খেলে বা পান করলে, তাতে শরীরের ক্ষতি। বিয়ারের ক্ষেত্রেও এই কথাটি খাটে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনে এক থেকে তিন ইউনিট (৫০০ মিলি-তে এক ইউনিট) বিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর বেশি নৈব নৈব চ।
২। অনেকেই বিয়ার খাওয়ার সময় এক ঢোকে মগ শেষ করে দিতে পারলেই বাঁচেন। কিন্তু বিয়ার এতো তাড়াতাড়ি না খেয়ে ধীরে ধীরে এর স্বাদ বুঝে খেতে হবে।
আরও পড়ুন-প্রাচীন ভারতীয়রা কী খেতেন? সেই ডায়েট কি কাজে লাগবে আমাদেরও?
৩। কোনও অনুষ্ঠানে বা মাসে এক-আধবার তিন ইউনিটের বেশি বিয়ার পান করা যায়। তবে পাঁচ ইউনিটের বেশি কখনওই নয়।
৪। বিয়ারের সঙ্গে অন্য পানীয় মেশানোর চেষ্টা না করাই ভাল। বিয়ার নিজেই স্বয়ং সম্পূর্ণ।
স্বাস্থ্যগত উপকার:
১। বিয়ার হার্টের ক্ষেত্রে উপকারি হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, পরিমিত মাত্রায় বিয়ারের সেবন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যে কোনও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের পরিমিত সেবন কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২। যাঁরা নিয়মিত বিয়ার পান করেন তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম। এখানেও সংযম চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন-বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘অশনি’, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান এখন ঠিক কোথায় ? দেখে নিন
৩। বিয়ারে উচ্চ মাত্রায় সিলিকন থাকে। যা হাড়ের ঘনত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের হাড় শক্তিশালী হয়। অর্থোসিলিসিক অ্যাসিডের দ্রবণীয় আকারে ডায়েটরি সিলিকন, হাড় ও টিস্যুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাছাড়া এটি অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪। বিয়ার হৃৎপিণ্ডের জন্য ওয়াইনের মতো স্বাস্থ্যকর পানীয়। নন-ড্রিংকার্সের তুলনায় বিয়ার পানকারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ কম।
৫। বিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা হল, এটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বিয়ারে জ্যান্থোহিউমল নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি ক্যানসার কোষ সৃষ্টিকারী এনজাইমকে বাধা দেয়।
ঘুম ব্যাঘাত হলে বা অনিদ্রায় ভুগলে বিয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ভাল। কারণ এটি স্লিপ সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদেরও বিয়ার পান থেকে বিরত থাকা উচিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।