রসে ভরা মিষ্টি পেয়ারা। সুস্বাদু তো বটেই পুষ্টিরও পাওয়ারহাউজ। ভিটামিন এ, সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ। সাধারণত গ্রীষ্মকালেই পেয়ারা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে শীতকালেও এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফলের খোঁজ করেন অনেকে।
তবে শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতারও অগণিত উপকারিতা রয়েছে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ব্যাড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, পেয়ারা পাতার জুড়ি নেই। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতেও পেয়ারা পাতা অদ্বিতীয়।
ওজন কমাতে: ওজন কমানোর ডায়েটে যে ফলগুলো রাখতেই হবে তার মধ্যে পেয়ারা অন্যতম। একটা মাঝারি আকারের পেয়ারায় ৩৭ ক্যালোরি থাকে। ফলে মুহূর্তের মধ্যে পেট ভরে যায়। স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়ায় শর্করার সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক কাপ পেয়ারা পাতার চা-ও ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সমান কার্যকরী।
হজম শক্তি বাড়ায়: পেয়ারার পাতায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের পাচনতন্ত্রের অবাঞ্ছিত অণুজীবকে মেরে ফেলে। পাতাগুলি অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করতেও সাহায্য করে। অনেকেই জানেন না, পেয়ারা পাতা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ত্বক এবং চুলের গঠন উন্নত করে: ত্বকের সমস্যায় পেয়ারা মহৌষধ। প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতেই হবে। পেয়ারা পাতা সেদ্ধ জল পান ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ ডোজের মতো। ত্বকের টেক্সচার ভাল হয়। ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, পিম্পল থেকে মুক্তি মেলে। ফ্রি র্যাডিকেল মেরে ফেল। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। স্বাস্থ্যকর ভিটামিন থাকায় বার্ধক্যের লক্ষণগুলোও হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন: লিপস্টিক ছাড়াই সুন্দর ও আকর্ষণীয় ঠোঁট পেতে চান? এই ঘরোয়া টিপস মানলে গোলাপী আভা মিলবে সহজেই
কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক, স্থূলতা রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। পেয়ারা পাতার চা এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে তো রাখেই ইনসুলিন প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ায়। এইচডিএল বাড়াতে এবং এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট এবং লিভার সুস্থ থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে হবে। ব্রঙ্কাইটিস এবং দাঁতের ব্যথা থেকে শুরু করে অ্যালার্জি, ক্ষত, গলা ব্যথা এবং দুর্বল দৃষ্টিশক্তির জন্য এটা দারুণ উপকারী। আগেই বলা হয়েছে, পেয়ারা পাতায় অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্টগুলি সিস্টেমের বিপজ্জনক কোষ এবং ভাইরাসগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট। এই কারণেই ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে অসংখ্য মানুষ আজও পেয়ারা পাতার ওপর নির্ভর করেন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।