#নয়াদিল্লি: রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস চিরতার জল। মারাত্মক তিতকুটে স্বাদ। মুখ, জিভ কষে একেবারে একসা। এমন ‘জঘন্য’ স্বাদের জন্য চিরতার জল খেতে কেউই পছন্দ করেন না।
সকালে উঠেই চিরতার জল খাওয়ার কথা ভাবলেই যেন কান্না পেয়ে যায়! তবে চিরতা তিতকুটে স্বাদের হলেও এর গুণ কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। আসলে চিরতাএতটাই উপকারী যে, অনেকে একে ‘তরল সোনা’ও বলে থাকেন। আয়ুর্বেদে চিরতাকে ‘মহৌষধ’ বলা হয়েছে। সে এক অলৌকিক ভান্ডার যেন!
চিরতা কী?চিরতা স্বের্তিয়া চিরায়িতা বা ‘বিটার স্টিক’, ‘ইস্ট ইন্ডিয়ান ব্যালমনি’ নামেও পরিচিত। হিমালয়ের উদ্ভিদ। বেশি উচ্চতায় জন্মায়। কাশ্মীর থেকে ভুটান পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে চিরতা গাছ সবচেয়ে বেশি হয়। সোজা লম্বা কাণ্ড, মোটা ছাল। ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস থেকে লিভারের যে কোনও সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে চিরতা।
আরও পড়ুন- চুলে তেল দিলে কি খুশকি বাড়ে? শীতের মুখে জেনে রাখুন সহজ সমাধান
চিরতা এত স্বাস্থ্যকর কেন?চিরতা আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এর একাধিক স্বাস্থ্যগুণের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে এটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ভেষজটি প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যালকালয়েড এবং জ্যান্থোনস, চিরাটানিন, চিরাটল, পামিটিক অ্যাসিডের মতো গ্লাইকোসাইডের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
ডায়েটে কেন চিরতার জল রাখতে হবে?চিরতা শুধু শরীরের জন্যই নয়, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও দারুণ কার্যকরী। এতে ‘স্বের্তিয়ামার্টিন’ নামে এক ধরনের যৌগ রয়েছে। এটা স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করতে সাহায্য করে, পুষ্টি জোগায়। তীব্র চাপ এবং উদ্বেগের চিকিৎসা তো করেই, খিঁচুনি নিরাময়েও সাহায্য করে।
চিরতা ভেজানো জল কিংবা চায়ের সঙ্গে খেলে ত্বকের সমস্যা যেমন – ফুসকুড়ি, চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং লালচে ভাব দূর হয়। কারণ এই ভেষজটির পুষ্টি উপাদান টক্সিন অপসারণ করতে এবং নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতার মতো রক্ত সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাতেও এটা দারুণ কার্যকরী।
চিরতার জল তৈরির পদ্ধতি:শুকনো চিরতার ২টো কাঠি ২ কাপ জলে ফোটাতে হবে। যত ক্ষণ না জল কমে অর্ধেক হয়ে যায়। তার পর ছেঁকে নিয়ে দিনে দুবার খাবার পর ৩ থেকে ৪ চা-চামচ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- কোভিড বিএফ৭-এর উপসর্গগুলো কেমন? ঠান্ডা লাগা ভেবে উপেক্ষা করবেন না, জেনে নিন
চিরতার উপকারিতা:চিরতার পুষ্টি উপাদানগুলি কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়। লিভার ভাল রাখে। ভেষজটির অ্যান্টি-পরজীবী বৈশিষ্ট্য শরীর থেকে রাউন্ডওয়ার্ম এবং ফিতাকৃমি দূর করতেও সাহায্য করে। ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ-ছাড়া ফোলাভাব, পেটের ব্যথা কমায়। বিপাকীয় হার বাড়ায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে আরও সাহায্য করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Appetite Loss, Healthy Lifestyle