#কলকাতা: যাঁরা ফ্যাশন সচেতন, ওজন কমাতে তাঁরা বিস্তর খাটাখাটনি করেন। যাঁরা ফ্যাশন সচেতন নন, কে কী বলল এটা নিয়ে যাঁদের মোটেও মাথাব্যথা নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে? বাড়তি ওজন মানেই কিন্তু বাড়তি রোগ। তাই বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবার আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ দেন (Weight Gain Diseases)।
শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হলে ওবেসিটি বা অতিস্থূলতা অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ভারতে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ এই অবস্থার শিকার। বিশ্বে স্থূলতা-ই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত।
আরও পড়ুন-এয়ার কন্ডিশনার নয়, গরমে স্বস্তি দিতে কনেপক্ষ কাজে লাগাল ফসল তোলার থ্রেশার; হতভম্ব বরপক্ষ!
টাইপ ২ ডায়াবেটিস: টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ওবেসিটির শিকার। ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের পরামর্শ, যদি কারও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে তাহলে তাঁকে অন্তত ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন কমাতে হবে। সঙ্গে নিয়মিত করতে হবে ব্যায়াম এবং ওয়ার্কআউট।
উচ্চ রক্তচাপ: অতিরিক্ত ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এমনটাই মনে করেন গবেষকরা। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবার প্রথমে ওজন কমানো এবং দৈনন্দিন রুটিনে শারীরিক কসরতের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-থমথমে দুর্গা পিতুরি লেন, ফাটল চওড়া হল না তো ! চিন্তায় বাসিন্দারা
হৃদরোগ: অতিরিক্ত ওজন হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালীর অসুখের অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। যে কারণে বাড়ে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা। ওজন বাড়লে হার্টের গঠন পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে প্রকাশ পেয়েছে গবেষণায়।
স্তন, কোলন, এন্ডোমেট্রিয়াল এবং অন্যান্য ক্যানসার: একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে স্তন ক্যানসার (পোস্টমেনোপজাল), কোলন-মলদ্বার, এন্ডোমেট্রিয়াম, ডিম্বাশয়, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, গলব্লাডার, গ্যাস্ট্রিক কার্ডিয়া, লিভার, খাদ্যনালী (অ্যাডিনোকার্সিনোমা), মেনিনজিওমা, থাইরয়েড এবং মাল্টিপল মায়লোমারে আক্রান্ত হওয়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
ফ্যাটি লিভার: লিভারে চর্বির পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত লিভারে অল্প পরিমাণ চর্বি থাকে। যখন এই মাত্রা লিভারের ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে যায় তখন ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
স্লিপ অ্যাপনিয়া: এই অবস্থায় স্বাভাবিক ঘুম ব্যহত হয়। ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। আবার অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলেও ওজন বাড়ে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওবেসিটিতে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যায় ভুগছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Weight gain